ফেসবুক মার্কেটিং – Facebook Marketing Best Choice 2024

0
450
ফেসবুক মার্কেটিং - itpalacebd.jpg

ফেসবুক মার্কেটিং | Facebook Marketing Best Choice 2024

বর্তমান বিশ্বে সামাজিক যোগাযোগ ব্যবস্থার সবচেয়ে জনপ্রিয় ওয়েবসাইট গুলোর মধ্যে ফেসবুক (Facebook) হলো একটি । ২০০৪ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠত হওয়া এই সাইটিতে বর্তমান বিশ্বের অর্ধেকের বেশি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের একাউন্ট রয়েছে। ফেসবুকের তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২.৯৩ বিলিয়ন। অন্যদিকে উইকিপিডিয়ার একটি আর্টিকেলের তথ্য অনুযায়ী ইন্টারনেটে সার্বধিক ভিজিট হওয়া ওয়েভসাইটিগুলোর মধ্যে ফেসবুক তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছে। আজকে আমরা জানবো ফেসবুক মার্কেটিং সম্পর্কে, তাহলে চলুন দেরি না করে শুরু করা যাক…

ফেসবুক মার্কেটিং কি

ফেসবুক মার্কেটিং হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা ফেসবুক প্ল্যাটফর্মে তাদের প্রোডাক্ট, পরিষেবা বা ব্র্যান্ড প্রচার করে এবং লক্ষ্যমূলকভাবে টার্গেট কাস্টমারদের সাথে যোগাযোগ করেন। এটি একটি ব্যবসায়িক প্রযুক্তি যা ব্যবহার করে ফেসবুকের ব্যবহারকারীদের সাথে সংযোগ স্থাপন করে এবং তাদের সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের সম্পর্ক তৈরী করে। ফেসবুক মার্কেটিং প্রযুক্তিগুলির সাহায্যে ব্যবসা স্বীকৃতি বা বিক্রয়ের জন্য ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা হয়, আপডেট অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কাস্টমারদের সাথে যোগাযোগ করা হয় এবং লক্ষ্যমূলক বিজ্ঞাপন প্রচার করা হয়।

ফেসবুক মার্কেটিং কত প্রকার

ফেসবুক মার্কেটিং এর প্রকারভেদ:-

সাধারণ ফেসবুক মার্কেটিং দুটি উপয়ে করা যায়। এগুলো হলো:

১) ফ্রি বা অর্গানিক মার্কেটিং

২) পেইড মার্কেটিং – Facebook Advertising

নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:

ফ্রি বা অর্গানিক মার্কেটিং:

ফেসবুকে ফ্রি বা অর্গানিক মার্কেটিং একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসা প্রচারের পদ্ধতি, যা কোনো অর্থ খরচ না করে ফেসবুক প্ল্যাটফর্মে ব্যবহার করা যায়। এটি সাধারণত পোস্ট, ডিজাইন বা ভিডিও কনটেন্ট, অ্যালবাম পোস্ট, পেজের পোস্ট, গ্রুপের পোস্ট এবং ইভেন্টের পোস্টের মাধ্যমে করা যেতে পারে। আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামে একটি ফেসবুকপেজ খুলে সে পেজের মাধ্যমে আপনার প্রতিষ্ঠানের পণ্য প্রচার করাই হচ্ছে ফ্রি বা অর্গানিক ফেসবুক মার্কেটিং। আপনার ফেসবুক পেজে অধিক পরিমানে ফ্যান ফলোয়ার থাকলে খুব সহজে আপনি ফ্রি ফেসবুক মার্কেটিং করতে পারবেন। এছাড়াও আপনি বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করে আপনার পণ্যের প্রচার চালাতে পারেন।

ফেসবুক মার্কেটিং - itpalacebd.jpg
ফেসবুক মার্কেটিং – itpalacebd.jpg

ফ্রি মার্কেটিং একেবারেই সহজ নয় এবং এটি সময় সাপেক্ষ কাজ। আপনার সম্প্রচারের দক্ষতা, আপনার লক্ষ্যবিশিষ্ট পাবলিকের চিন্তা এবং প্রচার করার পদ্ধতি সম্পর্কে অবশ্যই জ্ঞান থাকতে হবে।

একটি ভাল ফ্রি মার্কেটিং কনন্টেন্ট স্টেট্রেজি তৈরি করার সঠিক প্রয়াস করতে প্রয়োজন হবে। অনুসন্ধান করুন এবং কনন্টেন্ট তৈরি করুন যা আপনার লক্ষ্যবিশিষ্ট পাবলিকের সাথে মিল খাওয়ানো যাবে।  আপনার কনন্টেন্টগুলোতে বিশেষ আকর্ষণীয় অংশ যোগ করুন যা আপনার পাবলিকের মধ্যে আগ্রহ বাড়াতে সাহায্য করবে।

এছাড়াও, আপনার পোস্টগুলির জন্য প্রয়োজনীয় সময় নির্ধারণ করুন। ফেসবুকের প্রতিটি পাবলিকের সময়সূচী অনুযায়ী আপনার পোস্ট করার সময় নির্ধারণ করুন যাতে সবাই আপনার কনন্টেন্ট দেখতে সক্ষম হতে পারে।

ফেসবুকে ফ্রি বা অর্গানিক মার্কেটিং এর সুবিধা সম্পর্কে কথা বলা যেতে পারে নিম্নলিখিত অংশগুলো মনে রাখা উচিত:

১. খরচ মুক্ত: অর্গানিক মার্কেটিং এর জন্য আপনাকে কোন টাকা খরচ করতে হয় না। এটি আপনার প্রোফাইল বা পেজের কাছাকাছি মানুষদের সাথে সংযোগ করার একটি মাধ্যম।

২. লক্ষ্যমূলক পাবলিসিটি: আপনার পেজের পোস্ট অনেকের পাশে পৌঁছানোর সুযোগ বেশি থাকে, যখন আপনি আপনার পেজের সাথে অনুসরণকারীদের সাথে ভালো সম্পর্ক তৈরি করতে চেষ্টা করেন।

৩. সম্প্রতি পোস্ট দেখানো: ফেসবুক অ্যালগোরিদম সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকলে আপনি সামাজিক মিডিয়াতে যে ধরনের পোস্ট প্রকাশ করেন তা ধরে রাখতে পারেন। এটি আপনার পোস্টগুলি কতটা মানুষের কাছে দেখানো হচ্ছে তা নির্ধারণ করে।

৪. লোকাল বিক্রয়: যদি আপনি স্থানীয় ব্যবসায়ী হন তবে ফেসবুক অর্গানিক মার্কেটিং আপনার প্রত্যেকটি পোস্ট আপনার স্থানীয় কাস্টমারদের কাছে পৌঁছাতে সাহায্য করতে পারে।

সামাজিক মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম যেমন ফেসবুক এর মাধ্যমে অর্গানিক মার্কেটিং করা একটি ব্যবসায়িক প্রক্রিয়া যা সামগ্রিকভাবে পরিচালিত এবং কার্যকর হতে পারে, যদি সঠিক প্রকারে ব্যবহৃত হয়।

ফেসবুকে ফ্রি বা অর্গানিক মার্কেটিং এর কিছু সমস্যা নিম্নে উল্লেখ করা হলো:

১. সময় ও শ্রমের প্রয়োজনীয়তা: অর্গানিক মার্কেটিং অনেক সময় এবং পরিশ্রম প্রয়োজন পরে  প্রতিফলন দেখতে। আপনার পোস্টগুলির ভালো সারমর্মে দেখা দেয়ার জন্য আপনার সময় প্রদান করা প্রয়োজন।

২. প্রতিফলনের অনিশ্চয়তা: অর্গানিক মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে প্রতিফলনের অনিশ্চয়তা থাকতে পারে। অনেক সময় আপনার পোস্টগুলি সঠিক সাময়ে এবং সঠিক প্রতিক্রিয়া পেতে অনিশ্চয়তা থাকে।

৩. সীমিত প্রভাব: ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ার জন্য প্ল্যাটফর্ম সীমিত সুযোগ অফার করে। এটি আপনার পোস্টগুলি আপনার সব অনুসরণকারীদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার নিশ্চিয়তা দেয় না।

৪. ফেসবুকের অ্যালগোরিদমের পরিবর্তন: ফেসবুকের অ্যালগোরিদমের পরিবর্তনের ফলে আপনার পোস্টগুলির প্রদর্শন ও সুযোগ পরিবর্তিত হতে পারে। এটি আপনার অনুসরণকারীদের সাথে সংযোগ স্থাপনে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।

৫. লেখার দক্ষতা: অর্গানিক মার্কেটিং সঠিকভাবে কাজ করতে হলে আপনার পোস্টগুলির জন্য ভালো ও আকর্ষণীয় কন্টেন্ট লিখতে হবে। এটি লেখার দক্ষতা এবং সময় প্রয়োজন।

এই সমস্যাগুলির মোটামুটি সামান্যভাবে সামাধান করার উপায় হতে পারে, যেমন প্রফাইল সঠিকভাবে সেট আপ করা, টার্গেট পাবলিকেশন নির্ধারণ করা এবং প্রতিযোগিতামূলক কন্টেন্ট তৈরি করা।

ফেসবুক পেইড মার্কেটিং

Facebook Business Promotion ফেসবুকে পেইড মার্কেটিং হলো এমন একটি বিজ্ঞাপন প্রচার পদ্ধতি, যেখানে আপনি অর্থ প্রদান করে ফেসবুক প্ল্যাটফর্মে বিজ্ঞাপন প্রচার করতে পারেন এবং আপনার টার্গেট পাবলিকের সাথে সাম্প্রতিক সংযোগ গড়তে পারেন। যেকোন ধরনের বিজ্ঞাপন ফেসবুকে টাকার মাধ্যমে দেওয়া যায়। এ ধরনের বিজ্ঞাপন সাধারনত ফেসবুক নিউজফিডে বিভিন্ন পণ্যের স্পন্সরড পোস্ট হিসাবে শো হয় এবং ফেসবুকের ডান পাশে বিভিন্ন পণ্যের ছবি বা অফার আকারে প্রদর্শিত হয়।

Effective Facebook Marketing ফেসবুকে পেইড মার্কেটিং প্রক্রিয়া ব্যবসায়িক প্রচার ও মার্কেটিংয়ের জন্য একটি প্রভাবশালী মাধ্যম। এটি আপনার ব্যবসায়ের নাম ও পণ্যগুলির জন্য সুনাম এবং প্রচার করে আপনার লক্ষ্যমূলক পাবলিক আকর্ষণ করে। নিচে ফেসবুকে পেইড মার্কেটিং প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:

১. লক্ষ্য নির্ধারণ: প্রথমে আপনার বিজ্ঞাপনের লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে। আপনি যে লক্ষ্য আশা করেন, সেটি নির্ধারণ করতে হবে। এটি সাধারণত বিক্রয় বাড়ানো, ব্র্যান্ড সচেতনতা বাড়ানো, অনুমোদিত পোস্টের কাছে কোন আলোচনা বা ইন্টারেস্ট তৈরি করা, পেজ লাইক বা অনুসরণ বাড়ানো ইত্যাদি অনেক ধরনের হতে পারে।

২. লক্ষ্যমূলক বিজ্ঞাপন সেটআপ: পরবর্তীতে, ফেসবুকে বিজ্ঞাপন সেটআপ করতে হবে। এটি আপনার বিজ্ঞাপনের আকার, উদ্দীপনা, লক্ষ্য পাবলিক, বাজেট এবং অন্যান্য বিজ্ঞাপন সংক্রান্ত তথ্য নির্ধারণ করে। আপনি এখানে আপনার বিজ্ঞাপনের ভিডিও, ছবি, লেখা বা অন্যান্য ধরণের কনটেন্ট সংযুক্ত করতে পারেন।

৩. লক্ষ্যমূলক পাবলিক নির্ধারণ: এটি গুরুত্বপূর্ণ যে আপনি কি ধরনের লোকদের আপনার বিজ্ঞাপন দেখতে চান। ফেসবুক একটি ব্যবসায়িক প্রোফাইল বা পেজ দ্বারা আপনার টার্গেট পাবলিক নির্ধারণ করা যায়। আপনি বিভিন্নভাবে বিজ্ঞাপন সেটআপ করতে পারেন যেখানে আপনি নির্দিষ্ট শ্রেণীগুলির মানুষদের লক্ষ্য করতে চান।

৪. বাজেট নির্ধারণ: আপনার বিজ্ঞাপনের জন্য কত অর্থ খরচ করতে চান তা নির্ধারণ করা গুরুত্বপূর্ণ। আপনি বাজেট নির্ধারণ করার সময় আপনার লক্ষ্যমূলক প্রচারের ক্ষেত্রে যত বেশি পরিমাণের প্রচার করতে চান সে হিসাবে আপনাকে বাজেট নির্ধারন করতে হবে।

৫. বিজ্ঞাপন প্রচার: ফেসবুক অ্যাড ম্যাজার ব্যবহার করে নিদিষ্ট টাকা খরচ করে সরাসরি আপনার পণ্যের বিজ্ঞাপন ফেসবুকে দিতে পারবেন। এ ক্ষেত্রেও আপনি দু’টি উপায় অবলম্বন করতে পারেন। প্রথমে আপনার ফেসবুক পেজের বিজ্ঞাপন দিয়ে পেজের লাইক ও ফ্যান ফলোয়ার বৃদ্ধি করে নিতে পারেন, অথবা সরাসরি পণ্যের বিজ্ঞাপনও দিতে পারেন। সাধারণত ফেসবুকে পণ্যের বিজ্ঞান দেয়াটাই ভালো। কারণ আপনার প্রোডাক্টের কোয়ালিটি ভালো হলে, প্রোডাক্টের-এর বিজ্ঞাপন ও বিক্রি হওয়ার পাশাপাশি ফেসবুক পেজের লাইক ও ফ্যান ফলোয়ার অটোমেটিক বাড়তে থাকে।

৬. ট্র্যাকিং এবং পর্যবেক্ষণ: আপনার বিজ্ঞাপনের পারফরম্যান্স মনিটর করা গুরুত্বপূর্ণ। এটি যে পরিমাণ ট্রাফিক অর্জন করছে, কতগুলো ক্লিক পেয়েছে, কতগুলো কনভার্সন হয়েছে এবং আপনার বাজেট কোথায় খরচ হচ্ছে তা মনিটর করা উচিত।

ফেসবুকে পেইড মার্কেটিং প্রক্রিয়াটি সাধারণত এই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে। আপনি প্রচার বিজ্ঞাপন সংক্রান্ত তথ্য নির্ধারণ এবং প্রচার করার পরিমাণ বা সময় নির্ধারণে পরিবর্তন করতে পারেন যাতে আপনি আপনার লক্ষ্য মুলক বিজ্ঞাপন সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হতে পারেন।

ফেসবুকে পেইড মার্কেটিং এর অনেক সুযোগ ও সুবিধা রয়েছে, যেমন:

১. লক্ষ্যমূলক টার্গেটিং: ফেসবুকে পেইড মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনার পণ্য বা পরিষেবার লক্ষ্যমূলক অডিয়েন্সের মধ্যে প্রচার করতে পারেন। ফেসবুকে আপনি আপনার লক্ষ্যমূলক গ্রাহকদের বয়স, লোকেশন, লাইফস্টাইল, আগের অভিজ্ঞতা, ইন্টারেস্ট এবং অন্যান্য তথ্যের ভিত্তিতে সীমাবদ্ধ করতে পারেন। এতে এটি নিশ্চিত করে যায় যে, আপনার প্রচার করা কন্টেন্ট সঠিক সাম্প্রতিক দর্শকের কাছে পৌঁছাচ্ছে।

২. বৃদ্ধি করা মার্কেটিং ক্যাম্পেইনের প্রভাবকারিতা: পেইড মার্কেটিং প্রচারের জন্য আপনি বিভিন্ন ধরনের প্রচার ক্যাম্পেইন চালিয়ে যেতে পারেন। এই ক্যাম্পেইন থেকে প্রতিফলন বৃদ্ধি করা যায়, এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সম্মানজনকতা এবং প্রতিষ্ঠান বৃদ্ধি করা যায়।

৩. প্রতিফলনের নিশ্চিয়তা: পেইড মার্কেটিং ক্যাম্পেইন চালানোর জন্য আপনি নিশ্চিতভাবে প্রতিফলন পাবেন। ফেসবুকের প্রোমোট ও বিজ্ঞাপন সেবার মাধ্যমে আপনি নির্দিষ্ট বাজেটের মধ্যে আপনার পোস্ট অথবা পেজ প্রচার করতে পারেন।

৪. অনুসন্ধান এবং পরিসংখ্যান: ফেসবুক পেইড মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনি আপনার ক্যাম্পেইনের প্রভাবকারিতা বা পরিসংখ্যানের তথ্য অনুসন্ধান করতে পারেন এবং প্রযুক্তিগত উত্সাহিত করতে পারেন।

৫. ভিডিও এবং ডায়নামিক বিজ্ঞাপন: ফেসবুকে পেইড মার্কেটিং ব্যবহার করে আপনি স্ক্রল করতে বাধা হওয়া বিজ্ঞাপন, ভিডিও বিজ্ঞাপন এবং ডায়নামিক প্রদর্শনী ক্যাম্পেইন চালিয়ে যেতে পারেন।

Social Media Marketing on Facebook এই সুবিধাগুলি ফেসবুকে পেইড মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনার ব্যবসার প্রমোট বা বিজ্ঞাপন ক্যাম্পেইন দিয়ে আপনার লক্ষ্যমূলক কাস্টমারদের প্রাপ্তির সম্ভাবনা বৃদ্ধি করতে পারবেন।

এছাড়াও ফেসবুক পেইড মার্কেটিংয়ের আরোও বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে, নিচে উল্লেখ্ করা হলো:

  • ফেসবুক ব্যবহারকারীদের সংখ্যা বেশি হওয়ায় সহজে প্রচার ঘটানো যায়।
  • যেকোন জায়গা, শহর, দেশ বা লোকাল এরিয়া টার্গেট করে পণ্যের বিজ্ঞাপন দেওয়া যায়।
  • নির্ধারিত পণ্যের টার্গেট করা মানুষের কাছে প্রোডাক্ট পৌঁছানো সম্ভব হয়।
  • বিভিন্ন বয়সের মানুষকে টার্গেট করে প্রোডাক্ট মার্কেটিং করা যায়।
  • অন্যান্য মার্কেটিং এর তুলনায় অল্প খরচে ফেসবুক বিজ্ঞাপন দেওয়া যায়।
  • অনলাইনে কোম্পানির ব্র্যান্ড তৈরির জন্যে ফেসবুক সবচেয়ে সহজ মাধ্যম।
  • ব্লগ/ওয়েবসাইট প্রচারের সহজ মাধ্যম হচ্ছে ফেসবুক।

ফেসবুকে পেইড মার্কেটিং এর কিছু সমস্যা নিম্নে উল্লেখ করা হলো:

১. বাজেটের প্রতিপূর্তির প্রয়োজনঃ ফেসবুকে পেইড মার্কেটিং ক্যাম্পেইন চালানোর জন্য বিজ্ঞাপন বাজেট প্রয়োজন হতে পারে যা কখনও সম্পূর্ণ প্রয়োজনমূলক হতে পারে। বাজেট না থাকলে ক্যাম্পেইন সঠিকভাবে প্রচার না করা যায়।

২. বিজ্ঞাপনের প্রদর্শনের সময়সীমা: ফেসবুকে পেইড মার্কেটিং এর জন্য প্ল্যাটফর্মে সীমিত সুযোগ প্রদান করা হয়।

৩. ব্যবসায়িক প্রতিযোগিতার প্রভাব: ফেসবুকে পেইড মার্কেটিং ব্যবহার করা হলে অনেক সময় ব্যবসায়িক প্রতিযোগিতা হারানোর ঝুঁকি বেড়ে যায়। যখন অনেক কোম্পানি একই লক্ষ্যে মার্কেটিং করে, তখন প্রতিযোগিতার লেভেল উন্নত হতে পারে এবং বাজার বাড়াতে কঠিন হয়ে উঠে।

শেষকথা

ডিজিটাল মার্কেটিং জগতে ফেসবুক মার্কেটিং খুবই কার্যকরী একটি মাধ্যম। কিছু না করে বসে আছেন মানে আপনি অন্যদের থেকে পিছিয়ে আছেন। তাই দেরি না করে দ্রুত ফেসবুক মার্কেটিং শুরু করুন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here